খুঁজুন
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ, ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত: জাতিসংঘ

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত: জাতিসংঘ
শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আহত শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছেফাইল ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

জেনেভায় গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি মেয়েশিশু মারা গেছে।

এর আগের দিন গোটা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় আরও সাত শিশু নিহত হয়।

পিরেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই পক্ষের সম্মতিতে হওয়া একটি যুদ্ধবিরতির মধ্যেই এসব (হামলার) ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত ভয়াবহ। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও শিশুদের মৃত্যু বেড়ে চলেছে।’

ইউনিসেফের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, এগুলো কোনো পরিসংখ্যান নয়: প্রতিটি শিশুরই একটি পরিবার ছিল, স্বপ্ন ছিল, জীবন ছিল—যা অব্যাহত সহিংসতায় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে।’

গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইউনিসেফ গত মাসে জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার শিশু হতাহত হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন চলতি সপ্তাহে জানায়, ২০২৪ সালে প্রতি মাসে গড়ে ৪৭৫টি ফিলিস্তিনি শিশু সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়েছে। যুদ্ধের কারণে এদের কেউ মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছে, কারও শরীর ভয়ানকভাবে দগ্ধ হয়েছে।

ইসরায়েল ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ আছে। এর ফলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। খাবারের অভাবে এরই মধ্যে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তাদের সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। জবাবে ইসরায়েল উপত্যকাজুড়ে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালায়।তবে হামাস ইসরায়েলের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ওই সময়ে অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ উসকানিমূলক এ হামলা প্রমাণ করে, ইসরায়েল সরকার আবারও গাজায় জাতিহত্যা শুরু করতে চায়।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ গতকাল জানিয়েছে, তাদের দল গাজায় সম্প্রতি অনেক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় এসব নারী ও শিশুর কারও হাড় ভেঙে বেরিয়ে গেছে, আবার কারও হাত-পা বা মাথায় গুলির ক্ষত ছিল।

শীত শুরু হওয়ায় এখন গাজার গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য তাঁবু সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েল এখনো বিধিনিষেধ জারি রাখায় এসব পরিবার ঠান্ডার মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।

এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম
শেয়ার করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনকালীন সময়ে দলটির সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

 

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ‘আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই’ শিরোনামের এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

 

নুসরাত তাবাসসুমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই।

 

 

এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে, গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতা কেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে।

 

এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দ গুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্য ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম।

 

আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।

 

বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি।

 

এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।

 

 

 

এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনা ক্রমে যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।

চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন
শেয়ার করুন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা। যার ইসি নং ২২৭৪৪। গত ২৬ই ডিসেম্বর রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলে রাব্বানী চৌধুরী সরেজমিনে মসজিদ পরিদর্শন শেষে অনুমোদনকৃত কমিটি ঘোষণা দেন।

উক্ত কমিটিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সভাপতি ও সরওয়ার আলম কে সেক্রেটারি (মোতাওয়াল্লী) হিসেবে মনোনীত কর হয়। উক্ত কমিটির অধীনে ওয়াকফ দাতা/ওয়ারিশগণ ও স্থানীয় মুসল্লীদের সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি এস্টেট উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মাধ্যমে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন ও ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা রাখেন এলাকাবাসী। এবং তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উক্ত উন্নয়ন কমিটিতে সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী, সহ- সভাপতি মুফিদুল আলম (যুগ্ন সচিত),আবদু রউফ সিদ্দীকি,আবুল কালাম আজাদ, মো: হোসেন ও সাধারন সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সাধারন সম্পাদক মো: কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক শওকত হোসেন এবং সদস্য যথাক্রমে, আবদুল্লাহ, ইঞ্জি: ফয়জুল করিম ফাহিম,রুহুল কাদের শীলু, আবুদ জব্বার, শাকিলা সুলতানা (এমইউপি), জাফর আলম (এমইউপি), মৌ: ফরিদুল আলম, মিজানুর রহমান, মো: শাহনেওয়াজ উদ্দিন, মো: আলাম খোকন, মো: মনছুর আলম, মো:তারেক বিন হাসান,মো: রাশেদুল আলম।

কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
শেয়ার করুন

বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন প্রণয়ন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশ বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং আন্দোলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানবকল্যাণ ট্রেনিং সেন্টারে আলেম ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভেদ সৃষ্টি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির লক্ষ্য।

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে— খতিব, ইমাম ও মাওলানাদের মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে, ধর্মীয় উৎসবে ভাতা প্রদান করা হবে, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদেরও মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পবিত্র মক্কা শরিফের আরাফাতে রোপণ করা ‘জিয়া গাছ’ তার একটি নিদর্শন।

তিনি আরও বলেন,মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ জঙ্গি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এবং এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এবং তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ।