খুঁজুন
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ, ১৪৩২

সোয়া ২ কোটি টাকার ইয়াবা গায়েব

দোষ স্বীকার কনস্টেবল ইমতিয়াজের:জড়িত দুই ইন্সপেক্টরসহ ১১ পুলিশ সদস্য

টেলিগ্রাম নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:১৩ অপরাহ্ণ
দোষ স্বীকার কনস্টেবল ইমতিয়াজের:জড়িত দুই ইন্সপেক্টরসহ ১১ পুলিশ সদস্য
শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করা ‘সোয়া ২ কোটি টাকার ইয়াবা গায়েব’ ঘটনার তদন্তে অবশেষে মুখ খুলেছেন কক্সবাজার আদালতের এক বিচারকের গানম্যান কনস্টেবল ইমতিয়াজ হোসেন। টেলিগ্রাম নিউজের হাতে থাকা অকাট্য প্রমাণের সামনে সব সত্য উপস্থাপন করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। এরপর তা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তদন্ত কমিটির কাছে। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বাকলিয়া থানার দুই ইন্সপেক্টরসহ ১০ পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত কমিটির কাছে এসব তথ্য জানিয়েছেন ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক হওয়া পুলিশ সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন। লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দিতে কনস্টেবল ইমতিয়াজ হোসেন পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘গত ৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ২টার দিকে একজন এএসআই আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সিভিল পোশাকে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ, সিভিলে একজন এসআই, পুলিশ পোশাকে আরেকজন এসআই, তিনজন এএসআই, একজন পুরুষ কনস্টেবল এবং দুইজন মহিলা কনস্টেবল ছিলেন। আমার লাগেজ খুলেছিল একজন পাবলিক চেকার। সে চেইন খুলে ইয়াবা দেখার পর পুলিশ চেইন বন্ধ করে দিতে বলে। তারা ইয়াবাগুলো গুনেনি। পরে তারা সেগুলো কী করেছে আমি জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন এসআই সাদা কাগজে একটি সিজার লিস্ট তৈরি করেছিল। বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ আমার জবানবন্দি নিয়েছিল। আমার কাছ থেকে জবানবন্দিতে স্বাক্ষর করানো হয়। সেখানে আলাদা আলাদা পেজ ছিল। পরে আমাকে এসব বিষয় কাউকে না জানানোর জন্য বলা হয় এবং তারাও আমার ক্ষতি করবে না বলে নিশ্চিত করে। এরপর কোনো একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর ভোরের দিকে আমাকে একটি গাড়িতে তুলে দেয়।’ কনস্টেবল ইমতিয়াজ বলেন, ‘চাকরি চলে যাওয়ার ভয়েই এতদিন কিছু স্বীকার করিনি। এছাড়া বাকলিয়া থানা পুলিশ আমাকে স্পষ্ট বলেছিল-কাউকে কিছু বললে বিপদ হবে।’

জানা গেছে, ৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে দেশ ট্রাভেলসের কক্সবাজার কলাতলী কাউন্টারে যায় পুলিশ সদস্য ইমতিয়াজ। সেখান থেকে ঢাকার একটি টিকিট কাটেন তিনি। তবে টিকিট কেটেছিলেন চকরিয়া থেকে ওঠার কথা বলে। কিন্তু তিনি উঠেছিলেন কলাতলি থেকেই। কারণ কক্সবাজার থেকে যেসব যাত্রী ওঠে, চেকপোস্টে তাদের প্রতি সন্দেহ থাকে। ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে দেশ ট্রাভেলসের গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-১৬৪২) কলাতলি থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে। ইমতিয়াজ গাড়ির ই-১ আসনে ছিলেন। গাড়িতে বসেই তিনি পুলিশের আইডি কার্ডটি সামনের ডি-১ সিটে ঝুলিয়ে দেন। এতে গাড়ির যাত্রীরাও বুঝে যায় ইমতিয়াজ পুলিশ সদস্য।

তদন্ত কমিটির একজন সদস্য টেলিগ্রাম নিউজ কে জানিয়েছেন, ‘কনস্টেবল ইমতিয়াজ শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করছিল। তবে যুগান্তরের সরবরাহ করা অডিও ও তথ্য উপস্থাপন করার পর তিনি ভেঙে পড়েন এবং কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। পরে ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পুরো ঘটনা খুলে বলেন।’

এদিকে ইয়াবা গায়েবের সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি পৃথক ‘মিস কেস’ নথি খুলেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ। এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিএমপির উপ-কমিশনারকে (দক্ষিণ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরেও সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান বলেন, ‘ইয়াবা গায়েবের ঘটনায় আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ওই পুলিশ সদস্য ইয়াবাগুলো কার কাছ থেকে নিয়েছে এবং বর্তমানে সেগুলোর অবস্থান কোথায়? সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম
শেয়ার করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনকালীন সময়ে দলটির সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

 

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ‘আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই’ শিরোনামের এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

 

নুসরাত তাবাসসুমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই।

 

 

এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে, গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতা কেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে।

 

এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দ গুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্য ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম।

 

আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।

 

বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি।

 

এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।

 

 

 

এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনা ক্রমে যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।

চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন
শেয়ার করুন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা। যার ইসি নং ২২৭৪৪। গত ২৬ই ডিসেম্বর রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলে রাব্বানী চৌধুরী সরেজমিনে মসজিদ পরিদর্শন শেষে অনুমোদনকৃত কমিটি ঘোষণা দেন।

উক্ত কমিটিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সভাপতি ও সরওয়ার আলম কে সেক্রেটারি (মোতাওয়াল্লী) হিসেবে মনোনীত কর হয়। উক্ত কমিটির অধীনে ওয়াকফ দাতা/ওয়ারিশগণ ও স্থানীয় মুসল্লীদের সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি এস্টেট উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মাধ্যমে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন ও ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা রাখেন এলাকাবাসী। এবং তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উক্ত উন্নয়ন কমিটিতে সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী, সহ- সভাপতি মুফিদুল আলম (যুগ্ন সচিত),আবদু রউফ সিদ্দীকি,আবুল কালাম আজাদ, মো: হোসেন ও সাধারন সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সাধারন সম্পাদক মো: কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক শওকত হোসেন এবং সদস্য যথাক্রমে, আবদুল্লাহ, ইঞ্জি: ফয়জুল করিম ফাহিম,রুহুল কাদের শীলু, আবুদ জব্বার, শাকিলা সুলতানা (এমইউপি), জাফর আলম (এমইউপি), মৌ: ফরিদুল আলম, মিজানুর রহমান, মো: শাহনেওয়াজ উদ্দিন, মো: আলাম খোকন, মো: মনছুর আলম, মো:তারেক বিন হাসান,মো: রাশেদুল আলম।

কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
শেয়ার করুন

বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন প্রণয়ন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশ বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং আন্দোলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানবকল্যাণ ট্রেনিং সেন্টারে আলেম ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভেদ সৃষ্টি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির লক্ষ্য।

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে— খতিব, ইমাম ও মাওলানাদের মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে, ধর্মীয় উৎসবে ভাতা প্রদান করা হবে, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদেরও মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পবিত্র মক্কা শরিফের আরাফাতে রোপণ করা ‘জিয়া গাছ’ তার একটি নিদর্শন।

তিনি আরও বলেন,মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ জঙ্গি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এবং এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এবং তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ।