আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যর্থতার কারণেই খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদ থেকে খোদা বকশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। তারা জানান, ১২ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে তার ভূমিকা নিয়ে সরকারের ভেতর উদ্বেগ বাড়ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর খোদা বকশ চৌধুরীকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আশা করা হয়েছিল, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—বিশেষ করে পুলিশের ভেতর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন এবং তাদের মনোবল বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হওয়া এবং সংকট মোকাবিলায় দুর্বলতার কারণেই তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তিনি সাবেক আইজিপি ছিলেন, তাই তার কাছ থেকে দৃঢ় ও কার্যকর ভূমিকা আশা করা হয়েছিল।’
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বকশ চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন এবং সম্প্রতি কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় গত বুধবার পদত্যাগ করেন তিনি।
ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড। তার মৃত্যুর পর জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর কার্যালয় এবং আরও দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন—ছায়ানট ও উদীচীর ওপর হামলা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হাদিকে গুলি করে হত্যার পর পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে না পারায় প্রশাসনের ভেতরে খোদা বকশ চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘এই অসন্তোষ বুঝতে পেরে তিনি নিজ থেকেই পদত্যাগপত্র জমা দেন। সরকার তাকে পদত্যাগ করতে বলেনি।’
এ বিষয়ে জানতে খোদা বকশ চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন