খুঁজুন
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ, ১৪৩২

♦ লটারির মাধ্যমে পদায়ন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ♦ চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রী ভিন্ন ভিন্ন জেলায়

মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৩৪ অপরাহ্ণ
মাঠ প্রশাসন পুরো অদলবদল
শেয়ার করুন

নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসন সাজানোর উদ্যোন নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) ব্যাপক অদলবদল করা হয়েছে।

নিরপেক্ষ প্রশাসন করতে গিয়ে লটারির মাধ্যমে এ অদলবদলের কারণে কর্মকর্তাদের ভিতরে-বাইরে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ বহু কর্মকর্তাকে জোর করেই পাঠানো হচ্ছে কর্মস্থলে। আর এসব কারণে ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ বাড়ছে।

রাজনৈতিক তদবির এড়াতে শুরুতে পুলিশের বদলি লটারির মাধ্যমে করার উদ্যোগ নেয় সরকার। পরে লটারির মাধ্যমে ইউএনও পদায়ন করা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ উভয়ের মধ্যেই। এ লটারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা।

এসপি লটারিতে হলেও ডিসিদের পদায়ন কেন সেভাবে হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া সারা দেশের জেলার ওসিদের জন্য লটারি একবার এবং মহানগরের জন্য কেন সেটি আলাদাভাবে করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে কোনো পদায়ন-নিয়োগ লটারির ওপর নির্ভর করাটা ভালো প্রক্রিয়া নয়। এটি ভালো কোনো উদাহরণ তৈরি করবে না। এমনকি লটারির মাধ্যমে পদায়নের ফলও ভালো আসে না। মূলত নিজেরা যোগ্য লোককে বাছাই করতে পারছে না বলেই লটারি করছে। স্থানভেদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা অপরাধের ধরনে ভিন্নতা রয়েছে। কাজের দক্ষতা বিবেচনায় পদায়ন করাটাই যৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, মাঠে দায়িত্ব পালন আর শীতাতপনিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে কাজ করা এক নয়। যিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারেন তাদের পদায়ন হওয়া দরকার। পেশাগত পদায়নের ক্ষেত্রে লটারি কখনোই গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে না।

নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হবেন ইউএনওরা। ইউএনও পদায়ন নিয়ে অভিযোগ অনেক বেশি। কর্মকর্তাদের অভিযোগ- পছন্দের কর্মকর্তাদের ভালো উপজেলায় বসিয়ে বাকিদের নিয়ে লটারি করা হয়েছে। সব উপজেলায় সমান সমস্যা নয়, তেমনি দক্ষতাও সমান নয়। এ ক্ষেত্রে লটারির নামে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সামলানোর কৌশল সবার সমান থাকে না।

জানা গেছে, এ লটারি করতে গিয়ে অনেকের নিজের বা শ্বশুরবাড়ি উপজেলায় পদায়ন হওয়ায় সেটি আবার জনপ্রশাসনকে সংশোধন করতে হয়েছে। এ ছাড়া চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রীকে ভিন্ন ভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। পরিবার না চাকরি গুরুত্ব দেবে এসব নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে আছেন।

গত কয়েকদিন সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ৩৬ ও ৩৭ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নানা বিষয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। অনেকেই ইউএনও না হতে বা কাছের উপজেলায় রাখতে সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছে তদবিরও করেন। অনেক ইউএনও আদেশ জারির পরও কর্মস্থলে না যেতে নানা ধরনের মানবিক আবেদন করেন জনপ্রশাসনে।

প্রায় ৫০টির মতো মানবিক আবেদন জমা পড়ে জনপ্রশাসনে। যারা এ মুহূর্তে ইউএন হতে চান না বা বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন আবেদনে। কারও সার্জারি করা হবে, কারও সার্জারি করা হয়েছে। কেউ সন্তানসম্ভবা। কারও বাবা-মা অসুস্থ, ঢাকায় দেখার কেউ নেই। কারও বাচ্চা এত ছোট অথচ স্বামী-স্ত্রী ভিন্ন কর্মস্থলে- এসব নানা তথ্য উল্লেখ করে আবেদন করেছেন। কেউ আগেও পার্বত্য এলাকায় কাজ করেছেন আবার পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, এসব আবেদন নিয়ে বৈঠক করে মন্ত্রণালয়। আর জনপ্রশসান সচিবের সিদ্ধান্ত- কর্মস্থলে যোগ দিতেই হবে, কারও আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আর সমস্যাগ্রস্ত কর্মকর্তাদের দাবি, আমরা পরিবারের জন্য চাকরি করি। আমাদের অভিভাবক এভাবে জোর করে কর্মস্থলে পাঠাচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী চাকরি করাদেরও দুই জেলায় দেওয়া হয়েছে। যদিও স্বামী-স্ত্রী চাকরিজীবী হলে কাছাকাছি পদায়ন করার কথা।

কর্মকর্তাদের দাবি- যদি লটারিই হয় তাহলে এ ধরনের সমস্যা কেন চিহ্নিত করা হয়নি। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা ইউএনও পদায়নের আগে এরকম সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেনি, তাই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, বহু কর্মকর্তা যাদের বর্তমান সরকারই মাত্র ৩ বা ৬ মাস আগে ইউএনও হিসেবে মাঠে পাঠিয়েছিল, তাদের তুলে এনে সেখানে নতুন কর্মকর্তা দিয়েছে। অথচ অনেক কর্মকর্তা দুই বছর ধরে কর্মরত, তাদের প্রত্যাহার করা হয়নি। এসব ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জনপ্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এখনকার রদবদল নির্বাচনের জন্য করা হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। যারা কম সময় ইউএনও ছিলেন তাদের নিশ্চয়ই আবার মাঠে পাঠানো হবে।

এদিকে, পুলিশের রদবদল নিয়েও বাহিনীর অন্দরমহলে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় লটারির মাধ্যমে জেলার এসপিদের চূড়ান্ত করা হয়েছে। ফলে একটি অংশ খুশি হলেও পুলিশের বেশির ভাগ সদস্যের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা। এদিকে লটারির মাধ্যমে বদলির কারণে থানার ওসিদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

যদিও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, এসপি পদে পদায়নের জন্য প্রথমে মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করা হয়েছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, আয়তন ও গুরুত্বের ভিত্তিতে জেলাগুলোকে ‘এ’, ‘বি’, ও ‘সি’ তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় মেধাবীরা কেউ বাদ পড়েননি এবং লটারি স্বচ্ছ হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লটারিতে ক্যাটাগরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রক্ষা করা হয়নি। কারণ যারা ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায় আছেন, তারা সেই জেলা থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিরই অন্য জেলায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

লটারি করে সারা দেশে ৫২৭টি থানায় নতুন ওসি চূড়ান্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবার মহানগর পুলিশের ওসি পদে লটারির ক্ষেত্রে মহানগরে দায়িত্ব পালন করা ওসিদের শুধু থানা বদল করা হয়েছে। ঢাকায় ৫০ ওসি রদবদলের মধ্যে ৪৬ জনই বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করছেন, নতুন মুখ কম।

গত মাসেই নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে তফসিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিশে বদলি করার পরামর্শ দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। এ লটারি নামে পদায়নকে বিএনপি নেতারা ‘লোক দেখানো’ বলে অভিযোগ তুলেছেন।

বিএনপির দাবি, তালিকা তৈরির সময় বিশেষ আনুগত্যসম্পন্ন কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা আদর্শের প্রতি অনুগত কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম
শেয়ার করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনকালীন সময়ে দলটির সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

 

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ‘আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই’ শিরোনামের এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

 

নুসরাত তাবাসসুমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই।

 

 

এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে, গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতা কেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে।

 

এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দ গুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্য ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম।

 

আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।

 

বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি।

 

এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।

 

 

 

এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনা ক্রমে যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।

চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন
শেয়ার করুন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা। যার ইসি নং ২২৭৪৪। গত ২৬ই ডিসেম্বর রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলে রাব্বানী চৌধুরী সরেজমিনে মসজিদ পরিদর্শন শেষে অনুমোদনকৃত কমিটি ঘোষণা দেন।

উক্ত কমিটিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সভাপতি ও সরওয়ার আলম কে সেক্রেটারি (মোতাওয়াল্লী) হিসেবে মনোনীত কর হয়। উক্ত কমিটির অধীনে ওয়াকফ দাতা/ওয়ারিশগণ ও স্থানীয় মুসল্লীদের সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি এস্টেট উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মাধ্যমে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন ও ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা রাখেন এলাকাবাসী। এবং তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উক্ত উন্নয়ন কমিটিতে সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী, সহ- সভাপতি মুফিদুল আলম (যুগ্ন সচিত),আবদু রউফ সিদ্দীকি,আবুল কালাম আজাদ, মো: হোসেন ও সাধারন সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সাধারন সম্পাদক মো: কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক শওকত হোসেন এবং সদস্য যথাক্রমে, আবদুল্লাহ, ইঞ্জি: ফয়জুল করিম ফাহিম,রুহুল কাদের শীলু, আবুদ জব্বার, শাকিলা সুলতানা (এমইউপি), জাফর আলম (এমইউপি), মৌ: ফরিদুল আলম, মিজানুর রহমান, মো: শাহনেওয়াজ উদ্দিন, মো: আলাম খোকন, মো: মনছুর আলম, মো:তারেক বিন হাসান,মো: রাশেদুল আলম।

কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
শেয়ার করুন

বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন প্রণয়ন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশ বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং আন্দোলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানবকল্যাণ ট্রেনিং সেন্টারে আলেম ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভেদ সৃষ্টি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির লক্ষ্য।

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে— খতিব, ইমাম ও মাওলানাদের মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে, ধর্মীয় উৎসবে ভাতা প্রদান করা হবে, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদেরও মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পবিত্র মক্কা শরিফের আরাফাতে রোপণ করা ‘জিয়া গাছ’ তার একটি নিদর্শন।

তিনি আরও বলেন,মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ জঙ্গি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এবং এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এবং তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ।