খুঁজুন
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ, ১৪৩২

শুক্রবার দেশে আনা হবে ওসমান হাদির মরদেহ

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ
শুক্রবার দেশে আনা হবে ওসমান হাদির মরদেহ
শেয়ার করুন

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও ওসমান হাদির মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে দেয়া ওই পোস্টে লিখা হয়েছে, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

এছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকেও হাদির না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এক ভিডিওবার্তায় হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শরিফ ওসমান হাদি ভাইকে মহান আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে আমরা জানতে পেরেছি, হাদি ভাই আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। আল্লাহ তাকে শহিদ হিসেবে কবুল করুক। অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি যারা আছেন সবাইকে এই বাংলাদেশের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং হাদি ভাইয়ের পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
ওইদিন মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে, তবে অংশবিশেষ এখনও তার ব্রেনে রয়েছে।

এই অবস্থার মধ্যেই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
এনসিপি’র সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন তাবাসসুম
শেয়ার করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনকালীন সময়ে দলটির সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

 

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ‘আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই’ শিরোনামের এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

 

নুসরাত তাবাসসুমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

আমি খুব সংক্ষেপে কিছু বিষয় জানাতে চাই।

 

 

এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে, গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতা কেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে।

 

এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দ গুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্য ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম।

 

আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।

 

বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি।

 

এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।

 

 

 

এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনা ক্রমে যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।

চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৪২ অপরাহ্ণ
চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন
শেয়ার করুন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরসার ওয়াকফ এস্টেট কমিটি ও উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চাইন্দা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা। যার ইসি নং ২২৭৪৪। গত ২৬ই ডিসেম্বর রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলে রাব্বানী চৌধুরী সরেজমিনে মসজিদ পরিদর্শন শেষে অনুমোদনকৃত কমিটি ঘোষণা দেন।

উক্ত কমিটিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সভাপতি ও সরওয়ার আলম কে সেক্রেটারি (মোতাওয়াল্লী) হিসেবে মনোনীত কর হয়। উক্ত কমিটির অধীনে ওয়াকফ দাতা/ওয়ারিশগণ ও স্থানীয় মুসল্লীদের সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি এস্টেট উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মাধ্যমে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন ও ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা রাখেন এলাকাবাসী। এবং তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উক্ত উন্নয়ন কমিটিতে সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী, সহ- সভাপতি মুফিদুল আলম (যুগ্ন সচিত),আবদু রউফ সিদ্দীকি,আবুল কালাম আজাদ, মো: হোসেন ও সাধারন সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সাধারন সম্পাদক মো: কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক শওকত হোসেন এবং সদস্য যথাক্রমে, আবদুল্লাহ, ইঞ্জি: ফয়জুল করিম ফাহিম,রুহুল কাদের শীলু, আবুদ জব্বার, শাকিলা সুলতানা (এমইউপি), জাফর আলম (এমইউপি), মৌ: ফরিদুল আলম, মিজানুর রহমান, মো: শাহনেওয়াজ উদ্দিন, মো: আলাম খোকন, মো: মনছুর আলম, মো:তারেক বিন হাসান,মো: রাশেদুল আলম।

কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
শেয়ার করুন

বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন প্রণয়ন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশ বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং আন্দোলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানবকল্যাণ ট্রেনিং সেন্টারে আলেম ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভেদ সৃষ্টি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে, যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির লক্ষ্য।

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে— খতিব, ইমাম ও মাওলানাদের মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে, ধর্মীয় উৎসবে ভাতা প্রদান করা হবে, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদেরও মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পবিত্র মক্কা শরিফের আরাফাতে রোপণ করা ‘জিয়া গাছ’ তার একটি নিদর্শন।

তিনি আরও বলেন,মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ জঙ্গি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এবং এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এবং তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ।