খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক, ১৪৩২

ঈদগাঁও থানা পুলিশের সঙ্গে যুবদলের প্রীতি ম্যাচে তোলপাড়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:২১ অপরাহ্ণ
ঈদগাঁও থানা পুলিশের সঙ্গে যুবদলের প্রীতি ম্যাচে তোলপাড়
শেয়ার করুন

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় যখন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই ঈদগাঁও উপজেলা যুবদল ও ঈদগাঁও থানা পুলিশের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ফুটবল প্রীতি ম্যাচকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঈদগাঁও পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠিত ওই প্রীতি ম্যাচে একপক্ষে ছিলেন ঈদগাঁও উপজেলা যুবদলের কর্মীরা, অপরপক্ষে থানা পুলিশের সদস্যরা। খেলা ঘিরে মাঠে উপস্থিত ছিলো বিপুলসংখ্যক স্থানীয় দর্শক। ম্যাচ শেষে দুই পক্ষের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অনেক নাগরিক প্রশ্ন তুলেছেন, যখন দেশের রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ, তখন পুলিশের এমন দলীয় ঘনিষ্ঠতা কি নিরপেক্ষতার পরিপন্থী নয়? একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উচিত সকল দলের প্রতি সমদূরত্ব বজায় রাখা, কিন্তু এমন কর্মকাণ্ডে সেই আস্থা নড়বড়ে হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, থানার পুলিশ সদস্যরা প্রায় প্রতিদিন শরীরচর্চা করে। তবে গতকাল তারা বৃষ্টির কারণে খেলতেই পারেনি বলে দাবি করেন তিনি।

তবে স্থানীয় যুবদল কর্মী জাহাঙ্গীর আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারে পুরো ম্যাচটি দেখান। সেখানে তাকে বেশ উচ্ছ্বসিতভাবে খেলা উপভোগ করতে দেখা যায়। এছাড়া ঈদগাঁও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, “সুন্দর এক মুহূর্ত – ফুটবল ম্যাচ। ঈদগাঁও থানা ও ঈদগাঁও উপজেলা যুবদল।”

তবে এই আয়োজন নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বিমত রয়েছে। কেউ একে খেলাধুলার মাধ্যমে সৌহার্দ্য তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। আবার অনেকে বলছেন,  রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের এমন ‘বন্ধুত্বপূর্ণ প্রদর্শন’ জনগণের আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ম্যাচের ভিডিও ও ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে নানা মন্তব্যে মুখর নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, “এ যেন প্রীতি ম্যাচ নয়, নীতির লঙ্ঘন।” আবার কেউ দেখছেন এটি “রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে একটুখানি সৌহার্দ্যের বার্তা” হিসেবে।

যোগদান করলেন নতুন এডিসি তাসনীম জাহান

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১:১৭ পূর্বাহ্ণ
যোগদান করলেন নতুন এডিসি তাসনীম জাহান
শেয়ার করুন

কক্সবাজারের নতুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) তাসনীম জাহান (১৭৬৭৫) যোগদান করেছেন। গত ৪ নভেম্বর তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে যোগদানপত্র দিয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেন। তাসনীম জাহানকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে যোগদান করা এডিসি তাসনীম জাহান এর আগে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার ইউএনও হিসাবে ২০২৩ সালের ২৫ জুন থেকে চলতি সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের অভিজাত ক্যাডার বিসিএস (প্রশাসন) ৩৫তম ব্যাচের মেধাবী কর্মকর্তা তাসনীম জাহান ২০১৭ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার পদে সরকারি চাকুরী জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসে, বান্দরবান সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদে দায়িত্ব পালনকালীন ফুলতলার ইউএনও পদে তাসনীম জাহানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাসনীম জাহান সহ বিসিএস (প্রশাসন) ৩৫তম ব্যাচ থেকে কয়েকজন সর্বপ্রথম এডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

কক্সবাজারে সদ্য যোগদান করা এডিসি (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) তাসনীম জাহান চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চেচুরিয়া কুলিন পাড়ার মরহুম সিরাজুল কবিরের একমাত্র কন্যা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাসনীম জাহান সহ একই পদমর্যাদার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৪ জন কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনে এডিসি পদে পদায়ন করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক আব্দুল আজিজ এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক আব্দুল আজিজ এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলেন
শেয়ার করুন

২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে রাজপথে থাকা এবং পরবর্তীতে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিতে (এনসিপি) একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা আব্দুল আজিজ তার রাজনৈতিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি সম্প্রতি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আব্দুল আজিজ একজন সক্রিয় সংগঠক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং এনসিপি’র সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত হন।

 

পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে আব্দুল আজিজ বলেন, “আমি আব্দুল আজিজ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার সাথে সার্বক্ষণিক রাজপথে ছিলাম এবং পরবর্তীতে এনসিপিতে একজন সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছি। বর্তমানে ব্যক্তিগত কারণে আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলাম।” একইসঙ্গে তিনি তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীদের জন্য শুভকামনা ও দোয়া প্রকাশ করেন।

 

তার এই হঠাৎ পদত্যাগের কারণ রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে আজিজ তার বিবৃতিতে কেবল ব্যক্তিগত কারণকেই প্রধান্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টা না পেরাতে আবারও গুলি

টেলিগ্রাম ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:১১ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টা না পেরাতে আবারও গুলি
শেয়ার করুন

নগরের বায়েজিদ থানাধীন কুয়াইশ চালিতাতলী এলাকায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. ইদ্রিস আলী (৩৭) নামে এক অটোরিকশা চালক আহত হয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহত ইদ্রিস আলী, নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার এলাকার মৃত ইউসুফের ছেলে।

 

এর আগে বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি গণসংযোগে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় সরোয়ার হোসেন বাবলা (৩৫) নামে একজন নিহত হন। এ সময় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে এরশাদ উল্লাহ এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ও বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে কল রিসিভ করেনি।

 

বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মারেফুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, গুলির ঘটনার বিষয়ে অবগত নয়। খবর নিচ্ছি।

 

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কর্মরত নাম অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে চালিতাতলী এলাকায় অটোরিকশা চালানোর সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মো. ইদ্রিস আলীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি হাটুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।